স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির নিখোঁজ হওয়ার পর রাতেই এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু তাতে ফল না মেলায় সকাল হতেই এলাকাবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে ময়লার স্তূপে পাওয়া যায় তার মৃতদেহ, যা দেখে শিউরে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এমন পাশবিকতার উদাহরণ তারা আগে দেখেননি। রোজার মা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন—তার কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে তেজগাঁওয়ের বাতাস।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার দীর্ঘ সময় পরেও পুলিশ বা তদন্ত সংস্থার তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “একটি শিশু ধর্ষিত হয়েছে, খুন হয়েছে, আর আমরা শুধু অপেক্ষা করছি কারা এসে তদন্ত করবে!”
যে দেশে একটি নিষ্পাপ শিশু রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করা যায়, সেখানে উন্নয়ন বা অগ্রগতির কথা বলা যেন এক প্রকার ভ্রান্তি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #JusticeForRoja হ্যাশট্যাগে ইতোমধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও সচেতন নাগরিকেরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
রোজার জন্য ন্যায়বিচার চাই। তার নিঃশব্দ আর্তনাদ যেন আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। এই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজ, রাষ্ট্র এবং প্রশাসনের প্রতিটি স্তরের মানুষকে দায়িত্ব নিতে হবে—এখনই।