বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে দেশজুড়ে শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক এবং সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন এক বিবৃতিতে বলেন,
“লিখিত পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষকতার লাইসেন্স দেওয়া হলে এই পেশাটি অযোগ্যদের জন্য শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হবে। এটি শিক্ষার মানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকতার মতো মানসিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় প্রবেশের জন্য বিশ্লেষণধর্মী লিখিত পরীক্ষা অপরিহার্য। কেবল MCQ ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে উপযুক্ততা নির্ধারণ করা একপ্রকার অবৈজ্ঞানিক হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনে লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এটি শুধুমাত্র একটি প্রস্তাবনা, যা যাচাই-বাছাই চলছে।
শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। সেখানে যদি শিক্ষকতার মানদণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যাবে। সময় এসেছে এই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করার।
আপনার মতামত দিন: আপনি কি মনে করেন শিক্ষক নিবন্ধনে লিখিত পরীক্ষা থাকা উচিত? নিচে কমেন্ট করুন।
শেয়ার করুন: যদি মনে করেন এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে শেয়ার করুন বন্ধু ও শিক্ষানুরাগীদের মাঝে।