সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মাস্টার্স পর্যায়ের ছাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন। তিনি জানান, তিনি একটি স্বনামধন্য কর্পোরেট অফিসে ইন্টারভিউ দিতে গেলে হিজাব পরার কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হন এবং অবমাননার শিকার হন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী লিখেছেন,

“আমি নিজের যোগ্যতায় গ্র্যাজুয়েট হয়েছি, ভালো CGPA, ভালো ইংরেজি। কিন্তু যখন ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢুকি, প্রথম প্রশ্ন— ‘তুমি হিজাব পরো কেন? এটা কি আমাদের কালচারাল ফিট?’”

তিনি আরও লেখেন,

“প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। পরে বুঝলাম, তারা আমার মেধা নয়, আমার পোশাককে বিচার করছে।”

ধর্মীয় পোশাক বনাম কর্পোরেট কালচার?

বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম পালনের অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু বাস্তবে, অনেক চাকরির ক্ষেত্রে এখনও ধর্মীয় পোশাক বা পরিচয় নিয়ে অপ্রত্যাশিত বাধার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,

➡️ কর্পোরেট সংস্কৃতি মানে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি (diversity & inclusion) নিশ্চিত করা।

➡️ হিজাব কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়; বরং এটি একজন নারীর ব্যক্তিগত পছন্দ ও অধিকার।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া:

• অনেকেই ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
• হ্যাশট্যাগ #HijabIsMyRight ও #StopWorkplaceDiscrimination ট্রেন্ড করছে।
• চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি উঠেছে।