পিংকি পরীমনির বাসায় কাজ করতেন। মানে, তিনি গৃহকর্মী—আনুষ্ঠানিক পদমর্যাদা অনুযায়ী ‘ডোমেস্টিক হেল্প’। তার দাবি, তিনি শুধু হেল্প না, হেল্পেরও ওপরে হেল্প। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তিনি বললেন:
“আমি নির্যাতনের শিকার, আমাকে কষে গালাগাল দিছে, এমনকি মাইরও খাইছি!”
পরীমনি তখন মিডিয়ায় চিৎকার করে বলেন,
“এইটা সব সাজানো! আমার ওপর গণমাধ্যমের ষড়যন্ত্র চলছে।”
তিনি পাল্টা বলেন, পিংকি আসলে ‘কামড় খাওয়া সাপ’—যে তার বাসা ছেড়ে যাওয়ার আগে হালকা একখানা নাটক করে মিডিয়াকে নাচাইতেছে। কাদের ইশারায়? সেইটা এখনও পরীমনি বলেননি। কিন্তু হিন্ট দিলেন, কারা যেন তার বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পিত মিডিয়া ট্রায়াল বানাচ্ছে। যেন ‘জাস্টিস লিগ’ এর উল্টো ভার্সন: “ইনজাস্টিস লিগ অফ মিডিয়া!”
ঘটনার মোড় ঘুরে গেল তখনই, যখন পরীমনি শুধু পিংকির বিরুদ্ধে না, চারটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করে বসলেন।
তার ভাষায়:
“ওরা মিথ্যে নিউজ করে আমার সম্মান নষ্ট করছে। আমার একমাত্র অপরাধ, আমি নায়িকা?”
এখানে শুরু হলো এক প্রকার কোর্টরুম থ্রিলার—মিডিয়া বনাম মেগাস্টার।
এই কেস অনেকটা উল্টো দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়। কারণ বাংলাদেশে সাধারণত গৃহকর্মীরাই নির্যাতনের শিকার হন, এখানে সেটা উল্টো দিকে ঘুরছে। পরীমনির দাবি, এটা তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা—কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে:
সেই চেষ্টাটা কে করছে? কেন করছে? মিডিয়া কেন এত তাড়াতাড়ি পিংকির কথায় নিউজ করে ফেলল?
পরীমনি মিডিয়া লাইভে আসলেন, কাঁদলেন, বললেন,
“আমি কি মা হতে পারি না? আমি কি বউ হতে পারি না? আমি কি শুধু নায়িকা?”
এই লাইভে দর্শকদের চোখ ছলছল, আবার অনেকের মনে হলো—“নাটকের পর্দা আর বাস্তব, এত কাছাকাছি চলে আসলো কেমনে?”
এখানে আমরা কিছু প্রশ্ন রাখতে পারি:
এই পর্বে কে সত্যি, কে নাটক করছে—তা জানা মুশকিল। কিন্তু এটা পরিষ্কার, বাংলাদেশি মিডিয়া ও সেলেব্রিটি সংস্কৃতি এখন পুরোপুরি একে অপরের প্রেমে পড়ে গেছে—কখনো রোমান্স, কখনো ডিভোর্স!