
ভারতের সাম্প্রতিক হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার এই ধর্মীয় উত্তেজনাকে ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের উপর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনায় ভারত পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিদের দায়ী করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত “অপারেশন সিন্দুর” চালিয়ে পাকিস্তানে ৯টি স্থানে হামলা করে, যার ফলে ২৬ জন নিহত হন। পাকিস্তান এই হামলাকে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানায় এবং পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয় ।
মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর দমন-পীড়ন
হরিয়ানার নুহ জেলায় হিন্দু ধর্মীয় মিছিলের সময় সংঘর্ষের পর মুসলিমদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন এগুলোকে অবৈধ নির্মাণ বলে দাবি করলেও, মানবাধিকার কর্মীরা এটিকে মুসলিমদের উপর উদ্দেশ্যমূলক দমন-পীড়ন হিসেবে দেখছেন ।
️ ভোটের আগে ধর্মীয় মেরুকরণ
বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদি সরকার ভোটের আগে ধর্মীয় মেরুকরণকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নির্বাচনের আগের বছরে সংঘর্ষ হলে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলগুলোর ভোটের হার ০.৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে ।
গণমাধ্যমের ভূমিকা ও স্বাধীনতা
মোদির শাসনামলে সাংবাদিকরা ক্রমাগত হুমকি ও সেন্সরের মুখোমুখি হচ্ছেন। মুসলিমদের উপর বৈষম্য, বর্ণভিত্তিক সহিংসতা এবং সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রতিবেদন করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের মতে, প্রেস স্বাধীনতায় ভারতের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫১তম ।
সর্বমতে:
ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ধর্মীয় উত্তেজনা ও সহিংসতা বাড়ছে, যা ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য এটি একটি বড় হুমকি।
Source: gurdian