
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক জৈন সন্ন্যাসীর পায়ে মাথা রেখে আশীর্বাদ নিচ্ছেন। এই দৃশ্যটি কেবল ব্যক্তিগত ভক্তি প্রকাশ নয় — বরং এটি ভারতের বর্তমান রাজনীতিতে ধর্মীয় প্রভাব এবং ‘হিন্দুত্ব’ আদর্শের গভীর প্রসারকেই সামনে এনেছে।
নরেন্দ্র মোদি বারবার নিজেকে একজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন। হিন্দু ধর্মকে রাজনীতির কেন্দ্রে রেখে ভোট কুড়ানো, সংখ্যালঘুদের প্রতি অবজ্ঞা, এবং ধর্মীয় বিভাজন — এসবই যেন এখন ভারতের রাজনীতির ‘নতুন স্বাভাবিক’।
কিন্তু বাংলাদেশ কেন উদ্বিগ্ন?
১. সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যা: প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই।
২. কাশ্মীর ইস্যু: মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে লাখো মানুষের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদ থাকলেও, মোদি সরকার নির্লিপ্ত।
৩. সাম্প্রদায়িক উস্কানি: ভারতে NRC ও CAA-এর মতো আইন করে মুসলমানদের নিশানা করা হয়েছে। বাংলাদেশে এই ইস্যুগুলো প্রভাব ফেলেছে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতিতে।
৪. বাংলাদেশে প্রভাব: মোদির উগ্র হিন্দুত্ববাদ শুধু ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ককে নষ্ট করেছে। বারবার দেখা গেছে ভারতের ভিতরের ধর্মীয় সহিংসতার প্রভাব আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে।
এই ছবি একটা প্রশ্ন তোলে:
একজন প্রধানমন্ত্রী যদি প্রকাশ্যে একজন নির্দিষ্ট ধর্মগুরুর পায়ে মাথা রেখে নিজেকে নত করেন, তাহলে তার রাষ্ট্রের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ কল্পনা ছাড়া আর কী?
এই ছবি দেখে অনেক বাংলাদেশি বলছেন:
“এই হল সেই নেতা, যার শাসনামলে হাজার হাজার মুসলিম নির্যাতিত — এখন তিনি আশীর্বাদ নিচ্ছেন, যেন নিজের পাপ ধুয়ে ফেলতে চান!”
⸻
আপনি কী ভাবছেন? মোদির এমন ধর্মীয় কার্যকলাপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? আপনার মন্তব্য জানান। শেয়ার করে অন্যদেরও জানাতে দিন।