যুক্তরাজ্যে অভিবাসন নীতিমালায় বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। ২০২৫ সালের ১২ মে থেকে স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা রুটে ইন্ডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (ILR) পাওয়ার সময়সীমা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। নিচে এই নতুন নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হলো:
স্কিলড ওয়ার্কার ILR রুটের মূল পরিবর্তনসমূহ
১. ILR-এর জন্য সময়সীমা দ্বিগুণ:
বর্তমানে অধিকাংশ ভিসা ক্যাটেগরি যেমন কাজ, পড়াশোনা ও পরিবার ভিত্তিক ভিসার ক্ষেত্রে ILR-এর জন্য সময়সীমা ১০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে, কিছু উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবী যেমন AI ও ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে কর্মরত ব্যক্তিরা দ্রুত ILR পাওয়ার সুবিধা পেতে পারেন। (সূত্র: thetimes.co.uk)
২. বেতন সীমা বৃদ্ধি:
৩. কঠোর ইংরেজি ভাষার পরীক্ষা:
ভিসা আবেদনকারী ও তাদের নির্ভরশীলদের জন্য ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার মানদণ্ড আরও কঠিন করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো ব্রিটিশ সমাজে আরও কার্যকর একীভূতকরণ নিশ্চিত করা।
(সূত্র: theguardian.com)
৪. কেয়ার ওয়ার্কার নিয়োগে সীমাবদ্ধতা:
৫. ইমিগ্রেশন স্কিলস চার্জ বৃদ্ধি:
নিয়োগকর্তাদের গুনতে হবে ৩২% বেশি ইমিগ্রেশন স্কিলস চার্জ, যা ব্রিটিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণে ব্যয় করা হবে। (সূত্র: thetimes.co.uk)
আগে ও পরে – ILR-এর সময়সীমা তুলনা
এপ্রিল ২০২৪-এর আগে:
যারা এপ্রিল ২০২৪-এর আগে স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা পেয়েছেন, তারা ৫ বছর যুক্তরাজ্যে বৈধভাবে কাজ করে ILR-এর জন্য আবেদন করতে পারতেন।
উদাহরণ: CoS ইস্যু হয়েছে মার্চ ২০২৪ – ILR আবেদন সম্ভব মার্চ ২০২৯-এ।
(সূত্র: GOV.UK)
এপ্রিল ২০২৪-এর পরে:
২০২৫ সালের ১২ মে থেকে কার্যকর নিয়ম অনুযায়ী, ILR পাওয়ার জন্য সময়সীমা এখন ১০ বছর।
উদাহরণ: CoS ইস্যু হয়েছে মে ২০২৪ – ILR আবেদন সম্ভব মে ২০৩৪-এ।
(সূত্র: The Guardian)
ডিজিটাল ইমিগ্রেশন সিস্টেম আসছে:
২০২৫ সালের মধ্যেই সমস্ত ভিসা ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল (eVisa)।
আর কোনো BRP (Biometric Residence Permit) বা পাসপোর্টে স্ট্যাম্প থাকবে না।
উৎস: The Times UK, The Guardian, Financial Times, GOV.UK