
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে বক্তৃতাকালে প্রধান অতিথি ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গবেষণার মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। ভবিষ্যতের পৃথিবী তরুণ প্রজন্মের হাতে—বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে শিক্ষার্থীরাই।
তিনি জানান, ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। পরে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ তার চিন্তা ও জীবনদর্শনে পরিবর্তন আনে। সেসময় মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখে সমাজের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন। এই ভাবনা থেকেই ক্ষুদ্রঋণের ধারণা আসে, যা পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পায়। নোবেল পুরস্কার পাবেন—এটা কখনো কল্পনাও করেননি।
ড. ইউনূস আরও বলেন, বর্তমানে অর্থনীতি মূলত ব্যবসাভিত্তিক, কিন্তু হওয়া উচিত মানুষের কল্যাণভিত্তিক। এখনকার সভ্যতা ব্যবসাকেন্দ্রিক ও আত্মঘাতী; এটি টিকবে না। আমাদের প্রয়োজন একটি নতুন, মানবিক সভ্যতা।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে।