গাজায় মানবিক বিপর্যয়: রোজ বাড়ছে মৃত্যু, খাদ্য ও চিকিৎসার হাহাকার
বাংলা ফ্ল্যাশ বাংলা ফ্ল্যাশ
সিনিয়র রিপোর্টার


গাজা উপত্যকায় সংঘাত থামছে না। প্রতিদিনই নতুন করে বোমা হামলা, বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন। এই মুহূর্তে গাজা বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের নাম।
ইসরায়েল ও হামাস এর মধ্যে চলমান যুদ্ধের ফলে গাজায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারের ঘর। আহত হয়েছেন বহু। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী, শিশু এবং বয়স্করা। গৃহহীন হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। আশ্রয়শিবিরগুলো উপচে পড়ছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় চলমান বিমান হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট:
গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন অচল। পানির সরবরাহ বন্ধ। ওষুধের মজুদ শেষপ্রায়। হাসপাতালগুলোতে জেনারেটর চালানোর জন্য ডিজেল নেই, ফলে চিকিৎসা কার্যক্রম ভেঙে পড়ছে। বহু প্রসূতি মা এবং শিশু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা বারবার করে মানবিক করিডোর চালুর জন্য আহ্বান জানালেও, নিরাপদ সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, “গাজা একটি মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।”
- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই হামলাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
- মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, যা বড় পরিসরে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।
বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই সংঘাত এখনই বন্ধ না হয়, তাহলে তা শুধু গাজা নয় বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকেই দীর্ঘস্থায়ী সংকটে ফেলতে পারে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, মানবিক সাহায্য প্রদান এবং আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে উভয় পক্ষকে সংলাপে আনানো।
আরও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দ্য হেগে ১ লাখেরও বেশি মানুষের ঐতিহাসিক বিক্ষোভ