পর্তুগালের অর্থনীতি, জনসংখ্যা ও সমাজব্যবস্থায় এক শ্রেণির মানুষ নীরবে, নিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছেন—তারা হলেন ইমিগ্রান্ট বা প্রবাসীরা। বর্তমান পর্তুগালের টিকে থাকা ও অগ্রগতির নেপথ্যে এই জনগোষ্ঠীর অবদান অনেক সময়ই প্রচারের বাইরে থেকে যায়।
পর্তুগালের কৃষি, নির্মাণ, পরিষেবা, হোটেল, পরিচ্ছন্নতা ও রেস্টুরেন্ট খাতে বিপুল সংখ্যক ইমিগ্রান্ট কাজ করছেন। দেশীয় তরুণদের অনীহার কারণে এই খাতগুলো প্রায় পুরোপুরি বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল।
প্রবাসীরা নিয়মিত Social Security, ট্যাক্স (IRS) ও বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ফিস প্রদান করেন। তারা সরকারের কাছ থেকে তুলনামূলকভাবে কম সুবিধা নিয়ে বেশি অবদান রাখেন।
২০২৩ সালের অর্থ মন্ত্রণালয় রিপোর্ট: “বিদেশি কর্মীরা গড়ে দেশীয়দের তুলনায় বেশি কর প্রদান করেন।”
পর্তুগালের জন্মহার অনেক নিচে। ইমিগ্রান্ট পরিবারগুলো এই ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। তাদের সন্তানরা স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতিতে বড় হয়ে উঠছে।
মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ এখন পর্তুগালে সহাবস্থান করছে। এতে সমাজে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
প্রবাসী সন্তানেরা পর্তুগিজ স্কুলে পড়ছে, অভিভাবকেরা স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কেউ এনজিও ও ভলান্টিয়ার কার্যক্রমেও যুক্ত।
ইমিগ্রান্টরা শুধু কাজ করছেন না, বরং তারা পর্তুগালের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্ত করছে, সমাজে ভারসাম্য আনছে, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলছে। তাদের এই অবদান যদি সম্মান ও সুযোগ পায়, তবে পর্তুগালের ভবিষ্যৎ আরও উন্নত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই হবে।
Tags:
#PortugalImmigrants
#প্রবাসীর_অবদান
#MigrantWorkersPortugal
#BangladeshiInPortugal
#পর্তুগালসংবাদ
#ImmigrantVoices
#BanglaFlash
#ExpatsInEurope
#প্রবাসীসংবাদ
#PortugalLabourMarket
#InclusivePortugal
#DiasporaPower