মধ্যপ্রাচ্যে বারুদের স্তূপে আগুন! ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একটি মাত্র ভুল চাল ডেকে আনতে পারে সর্বনাশা নিউক্লিয়ার সংঘর্ষ। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই যুদ্ধ কি শুধুই মধ্যপ্রাচ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে? না কি এর ভয়াবহ ধাক্কা পৌঁছে যাবে ইউরোপের ঘরে ঘরে?
ইরান যদি Hormuz প্রণালী বন্ধ করে দেয় বা তেল রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে ইউরোপে তেলের দাম ৬০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে ব্রেন্ট ক্রুড ও জেট ফুয়েল-এর দাম ভয়ংকরভাবে বাড়ছে। এই একাধিক দামে ইউরোজোনে তৈরি হতে পারে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঢেউ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্তব্ধ হয়ে যাবে (stagflation)। এতে কর্মসংস্থান কমবে, রফতানি হ্রাস পাবে, এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাবে মারাত্মকভাবে।
British Airways, Lufthansa, Emirates–এর মত এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যে দুবাই, দোহা, বাহরাইন–এর রুট বন্ধ করেছে। এই যুদ্ধ চলতে থাকলে ইউরোপের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের লজিস্টিক চেইন ভেঙে পড়বে, যার ফলাফল পড়বে খাদ্য, জ্বালানি ও খুচরা বাজারে।
ইউরোপীয় দেশগুলো ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানালেও জনগণের মধ্যে বিভাজন বাড়ছে। অভিবাসন-বিরোধী দলগুলো সুযোগ নিচ্ছে—মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত মুসলিমদের লক্ষ্য করে প্রচার চালাচ্ছে। এর ফলে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সামাজিক শান্তি হুমকির মুখে।
যুদ্ধ দীর্ঘ হলে ইরান, লেবানন, সিরিয়া থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইউরোপমুখী হতে পারে। এর ফলে ইউরোপে আবারও দেখা দিতে পারে অভিবাসন সংকট, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং উগ্র-ডানপন্থী উত্থান।
ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ যদি সত্যি পরমাণু যুদ্ধের রূপ নেয়, তাহলে সেটি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়—ইউরোপের প্রতিটি দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, ও সমাজ ব্যবস্থার ওপর ফেলবে গভীর প্রভাব। সময় এসেছে, ইউরোপ যেন কূটনীতি ও প্রতিরোধের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পায়।
পর্তুগালে TRC কার্ড পাওয়ার পর পরিবারকে কীভাবে আনবেন? জেনে নিন বিস্তারিত নিয়ম
hashtags:
#IranIsraelWar #NuclearThreat #MiddleEastCrisis #ইউরোপজুড়ে_উত্তেজনা #ইরান_ইসরায়েল_সংঘর্ষ #GlobalImpact #WarAndPeace #জ্বালানি_সংকট #RefugeeCrisis #WorldOnEdge #NuclearFallout #ইউরোপ_বিপদে #banglaflash