পর্তুগালে অভিবাসন আইন কঠোর, প্রতিবাদে সরব মানবাধিকার সংগঠন ও রাজনৈতিক দল
বাংলা ফ্ল্যাশ বাংলা ফ্ল্যাশ
সিনিয়র রিপোর্টার


পর্তুগাল অভিবাসন ২০২৫: মানবাধিকারের প্রশ্নে প্রতিবাদ
পর্তুগালে সাম্প্রতিক অভিবাসন আইন সংস্কার নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেই একাধিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল অভিবাসীদের পক্ষে কণ্ঠ তুলেছে। কঠোর অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে এদের প্রতিবাদ ইতোমধ্যেই জনমতকে আলোড়িত করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে, পর্তুগাল অভিবাসন ২০২৫ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
️ অভিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কারা?
1. Solidariedade Imigrante
পর্তুগালের অন্যতম বৃহৎ অভিবাসী অধিকার সংস্থা Solidariedade Imigrante অভিবাসীদের বর্তমান পরিস্থিতিকে “open-air prison” বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থার সভাপতি টিমোথিও মাসেডো বলেন, “সরকার একদিকে বহিষ্কারের হুমকি দিচ্ছে, অন্যদিকে প্রক্রিয়াগত সহায়তা দিচ্ছে না। এটি মানবাধিকারের পরিপন্থী।”
2. বামপন্থী রাজনৈতিক দলসমূহ
Partido Livre, PCP এবং Bloco de Esquerda দলগুলো একযোগে অভিবাসন নীতির পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তারা বলেছে, “এই নতুন আইনগুলো সামাজিক পশ্চাৎপদতা এবং সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের সমান।”
3. সমাজতান্ত্রিক নেতা José Luís Carneiro
José Luís Carneiro, সমাজতান্ত্রিক দলের একজন সিনিয়র নেতা, সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন যে, “এই কঠোর নীতি পর্তুগালে সহিংসতা ও ঘৃণা ছড়াতে পারে। এটি নাৎসি যুগের বিভাজন নীতির মতো বিপজ্জনক।”
জনমতের দিক
একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, পর্তুগালের ৬৮.৯% নাগরিক মনে করেন অভিবাসীরা অর্থনীতিতে অবদান রাখেন। তবুও ৬৭.৪% মনে করেন অভিবাসন অপরাধ বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কযুক্ত।
পর্তুগালে অভিবাসন ইস্যু এখন আর কেবল নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, এটি মানবিক অধিকার এবং সামাজিক সহাবস্থানের বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে সরকার নীতিকে কঠোর করছে, অন্যদিকে সংগঠন ও দলগুলো অভিবাসীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে — সামনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।
#পর্তুগাল #AbhibashiderAdhikar #ImmigrationRights #PortugalNews #HumanRights #MigrationCrisis #পর্তুগালে_অভিবাসন #StopDeportation #SocialJustice #Chega #SolidariedadeImigrante #InternationalNews #EUImmigration #প্রবাসী #MigrantsProtest #حقوق_المهاجرين