
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের নতুন সুপারিশ: ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ
স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ৫ মে, সোমবার কমিশন এই প্রতিবেদন প্রদান করে। এতে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমের ওপর বেশ কিছু কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধের নমুনা বা উপহার দিয়ে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা নিষিদ্ধ থাকবে। মেডিকেল কনফারেন্সে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা গেলেও, প্রতিনিধির সরাসরি উপস্থিতি ছাড়া কোনো ধরনের পণ্য উপস্থাপন, খাবার, উপহার, ব্যাগ বা সাংস্কৃতিক আয়োজন করা যাবে না। এমনকি খেলাধুলা বা র্যাফেল ড্র-এর মতো কর্মকাণ্ডে ফান্ডিং করাও নিষিদ্ধ থাকবে।
সুপারিশ অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র ইমেইল বা ডাকযোগে চিকিৎসকদের কাছে পণ্যের তথ্য পাঠাতে পারবে। সরাসরি সাক্ষাৎ করে প্রমোশন চালানো যাবে না এবং হাসপাতাল বা চেম্বারে ওষুধ প্রচারের সুযোগও থাকবে না।
এছাড়া, কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধি চিকিৎসকদের পেশাগত সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। নতুন ওষুধ বা বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করতে হলে, তা নিরপেক্ষ ও কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক সভার মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে, কোনো প্রতিষ্ঠানভিত্তিকভাবে নয়।