
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগড় গ্রামে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে জলসুখা ইউনিয়নের এই গ্রামে সংঘর্ষের সময় দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা জমি, জলাশয় ও অন্যান্য সম্পদের ইজারার টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। অভিযোগ রয়েছে, পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকা লতিফুর মেম্বার আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব দিচ্ছিলেন না এবং নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করছিলেন, যার প্রতিবাদ করে প্রতিপক্ষ শাজাহান মেম্বারের অনুসারীরা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে, যখন শাজাহান মেম্বারের লোকজন একটি ট্রলিতে ধান নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আক্তার হোসেনের দলের কয়েকজন তাদের পথ আটকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত ১১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন—সাদ্দাম মিয়া, তকছির মিয়া, ওয়াহিদুল, রসিদ, সাব্বির, ওয়াসিম, ধনু, কোহিনুর, সাগর, আবু সহিদ, আজিম উদ্দিন, সেনাবুর, সরাজ, সেলু, আজিজুল ও জাহাঙ্গীরসহ অনেকে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাসান জানান, সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
[এই প্রতিবেদনটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত]