
আজ সকাল থেকেই সামাজিক মাধ্যমে যেন অঞ্জন দত্তকে ঘিরে এক ভিন্ন রকমের উত্তেজনা। তাঁর গানের লাইন, ছবি, স্মৃতি—সব কিছুতেই ভরে গেছে নিউজফিড। অথচ আজ তাঁর জন্মদিনও নয় (যা ১৯ জানুয়ারি)। তাহলে এই হঠাৎ করে অঞ্জন-চর্চার কারণ কী?
অঞ্জন দত্ত শুধু একজন গায়ক নন—তিনি একজন গীতিকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বহু গুণে গুণান্বিত এক সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁকে নিয়ে ভাবনার জন্য কোনো বিশেষ দিনের প্রয়োজন পড়ে না। তাঁর গান, তাঁর কণ্ঠ যখনই শোনা যায়, তখনই যেন নতুন করে জীবন্ত হয়ে ওঠেন তিনি। বন্ধুদের আড্ডা হোক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, অঞ্জনের গান সবসময়ই প্রাসঙ্গিক।
তবুও আজকের এই আলোচনার পেছনে কি নিছক ভালোবাসা, না কি অন্য কোনো অনুপ্রেরণা কাজ করছে?
অঞ্জনের জীবনকাহিনি মোটেও সোজাসাপটা নয়। একসময় ধনী পরিবারের সন্তান হিসেবে বড় হলেও, জীবনের বাঁকে বাঁকে এসেছে নানা সংকট। সেন্ট পলস স্কুলে পড়া অবস্থায় পারিবারিক ব্যবসার অবনতি ঘটে। বিলাসবহুল জীবন কাটানো ছেলেটির পরিবারকে তখন শখের গাড়িও বিক্রি করে দিতে হয়। পরবর্তীতে আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁকে অন্য স্কুলে পাঠানো হয়। ছাত্রজীবনেই তিনি বুঝে যান, জীবন কত দ্রুত রঙ বদলাতে পারে।
বাবার মৃত্যুর পর শুরু হয় তাঁর নতুন পথচলা। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি নাটকের জগতে প্রবেশ করেন। ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে গড়ে তুলতে থাকেন নিজের পরিচয়। এরপর সিনেমায়ও সুযোগ আসে। একেবারে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে তাঁর শিল্পীসত্তা।