মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজদিঘির পার এলাকাটি দিন দিন কিশোর অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে।
১৭-১৮ বছর বয়সী একদল কিশোর বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাই, মাদক সেবন ও অনলাইন জুয়া— সবই চলছে এক ছত্রছায়ায়।
অভিযুক্ত কিশোররা:
- এনামুল, পিতা জমশেদ
- তারেক, পিতা গফুর
⚠️ কী কী অপরাধে জড়িত এই গ্যাং?
- ইভটিজিং: স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের নিয়মিত উত্যক্ত করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেটের সামনে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ছুঁড়ে দেয়।
- মাদক সেবন ও ব্যবসা: ইয়াবা ও গাঁজার নেশায় আসক্ত। নির্দিষ্ট কিছু স্থানে মাদকের আড্ডাও চালায়।
- অনলাইন জুয়া: মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জুয়ায় অংশ নেয়, টাকা লেনদেন হয় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে।
- চুরি ও ছিনতাই: রাতের বেলায় পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে। বাড়ি বাড়ি ঢুকে চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
️♂️ প্রশ্ন উঠছে— কে দিচ্ছে আশ্রয়?
স্থানীয়রা মনে করছেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পরিবারের ছত্রছায়ায় এরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
“১৭-১৮ বছরের কিশোররা কীভাবে এত বড় অপরাধে পার পেয়ে যাচ্ছে? প্রশাসন নীরব কেন?” — এ প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর।
“ওদের পেছনে বড় লোক আছে, না হলে এত সাহস আসে কোথা থেকে? পুলিশ বা প্রশাসন কেন নীরব?”
— একজন ক্ষুব্ধ অভিভাবক
প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি
- চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ
- কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদের তদন্ত করে প্রকাশ করা
- এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন ও পুলিশের টহল বৃদ্ধি