
এক সময় ছাত্ররাজনীতি ছিল দেশপ্রেম, সংগ্রাম ও নেতৃত্বের প্রতীক। কিন্তু বর্তমানে এটি অনেক ক্ষেত্রেই সহিংসতা, দখলদারিত্ব ও দলের আজ্ঞাবহ হওয়ার প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল, ভর্তি প্রক্রিয়া, এমনকি পরীক্ষার সিডিউলও ছাত্রসংগঠনের প্রভাবমুক্ত নয়। ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শিবির-কাঁটা হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীরাই।
এই রাজনীতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা থেকে বিচ্যুত করছে, মেধা বিকাশে বাধা দিচ্ছে। এমনকি মেধাবী শিক্ষার্থীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কিছু দলছুট নেতা “রাজনীতি”র নাম করে অপরাধ করছে, আর গোটা ছাত্ররাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, বরং প্রয়োজন। তবে সেটি হওয়া উচিত আদর্শভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও সহনশীল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতিকে যদি নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার মধ্যে না আনা হয়, তবে উচ্চশিক্ষা মান হারাবে।
প্রশ্ন এখন রাজনীতি নয়, প্রশ্ন এর চরিত্র ও উদ্দেশ্য। নেতৃত্ব গঠনের মাঠ যেন অপরাধীর আস্তানায় পরিণত না হয়।