বর্তমানে কোচিং ছাড়া শিক্ষাজীবন যেন অসম্পূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ঠিকমতো পড়ানো না হওয়ায় অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে প্রাইভেট কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করছেন।
শিক্ষকেরাও কখনো কখনো মূল ক্লাসে গুরুত্ব না দিয়ে প্রাইভেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত আয় করছেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়।
কোচিং সেন্টারগুলো আজকাল শুধু গাইড আর মডেল টেস্ট নির্ভর। সেখানে সৃজনশীল কিছু শেখানো হয় না। এর ফলে ছাত্ররা মুখস্থ করে পাশ করলেও প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারে না।
সরকার একাধিকবার কোচিং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও কার্যকর সমাধান দিতে পারেনি। কারণ মূল সমস্যার জায়গা — স্কুলে গুণগত মানের ক্লাস না হওয়া।
যতদিন স্কুলে ভালো শিক্ষক, মনোযোগী পাঠদান ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া থাকবে না, ততদিন অভিভাবকেরা বিকল্প খুঁজবেই। তাই প্রাইভেটের সমাধান প্রাইভেট বন্ধ নয়, বরং মূল শিক্ষার মান উন্নয়ন।