
দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাঁর প্রত্যাবর্তনের ফলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।

খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন ২০২৫ | বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ফের চাঙ্গা
✈️ দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরা
খালেদা জিয়া প্রায় ১১ মাস ধরে লন্ডনে অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার দিবাগত রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী তাঁর স্বাগত জানাতে জড়ো হন।
বিএনপির বক্তব্য: ‘গণতন্ত্রের পথচলা আবার শুরু’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
“নেত্রী দেশে ফিরেছেন, গণতন্ত্রের লড়াই এখন আরও জোরালো হবে। জনগণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয় – সে লক্ষ্যে তাঁরা সব ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
️ সরকারের প্রতিক্রিয়া: ‘রাজনীতি হোক শান্তিপূর্ণ’
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তথ্যমন্ত্রী বলেন,
“আমরা চাই রাজনীতি হোক শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ধারায়। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।”
বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে কী পরিবর্তন আসছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার ফেরা বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে। দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা নেত্রীর উপস্থিতি মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উদ্দীপনা বাড়াবে। একইসঙ্গে সরকারের ওপর নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনের দাবি আরও জোরদার হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে একটি “বৃহত্তর অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন” চেয়েছে। খালেদা জিয়ার ফেরা এই আলোচনাকে আরও গুরুত্ব দিচ্ছে।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা শুধু বিএনপি নয়, গোটা রাজনীতির জন্যই একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা হতে পারে। এখন দেখার বিষয় – এই ঘটনাকে ঘিরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের চিত্র কতটা বদলায়।