
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে, যতক্ষণ না বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দলের বিরুদ্ধে চলমান মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ১৩ মে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি উত্থাপিত হয়। উপ মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, তারা এ বিষয়ে অবগত এবং যুক্তরাষ্ট্র কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। তবে তারা বাংলাদেশে অবাধ ও ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে।
ভারতও এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে। দিল্লিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ উদ্বেগজনক।
উল্লেখযোগ্য যে, সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একই দিন রাতেই নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।