ভোটের মাঠে জামায়াত, ফিরে পায়নি নিবন্ধন ও প্রতীক

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে জামায়াত, এখনো ঝুলে আছে নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়

 

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, প্রস্তুতির দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অধিকাংশ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে শুরু হয়েছে প্রচারণা কার্যক্রম। তবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীকের অনুপস্থিতি।

 

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়, যার ফলে দলের দীর্ঘদিনের প্রতীক ‘দাড়িপাল্লা’ও হারিয়ে যায়। দলটি এখন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, নিবন্ধন এবং প্রতীক পুনরুদ্ধারের আশায়।

 

সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক পরিবেশ কিছুটা বদলালেও, জামায়াতের নিবন্ধন পুনঃপ্রাপ্তির বিষয়টি এখনো উচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। আট মাস পার হলেও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

 

জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, নিবন্ধন বাতিলকে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখছেন এবং আশা করছেন আদালতের রায়ে তারা ন্যায়বিচার পাবেন।

 

এ বিষয়ে দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, মামলাটি আংশিক শুনানি পর্যন্ত গিয়েছিল, তবে সংশ্লিষ্ট একজন বিচারপতির অসুস্থতার কারণে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হয়। এরপর আদালতের অবকাশ থাকায় আরও সময় লেগেছে।

 

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করেছি যাতে নিবন্ধন ও প্রতীক উভয়ই ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়।”

 

যদিও প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে, তবে জামায়াতের নেতাদের মধ্যে রয়েছে আত্মবিশ্বাস—তারা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে পারবেন।