
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাড় ইউনিয়নের কান্দাল গ্রামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর করা মামলায় এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা রাত আনুমানিক ১২টা ১০ মিনিটে ভুক্তভোগীর ঘরে ঢুকে তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর মাথার চুল কেটে দেয়। এ সময় ঘর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন অসুস্থ শাশুড়ি ও তাদের দুই বছরের মেয়ে। শাশুড়ির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, পাশের বাড়ির ইমাম হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, এ বিরোধের জেরে প্রতিশোধ নিতে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ইমাম হোসেন আগেও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. ফজলুল হক জানান, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-আমিন সরকার বলেন, “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘটনা। পুলিশের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি এবং তারা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে।”
ভুক্তভোগীর স্বামী ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
⸻
সংবাদ সংকলন: BanglaFlash ডেস্ক
সূত্র: স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ