লিখিত পরীক্ষা বাদ দিলে শিক্ষকতা পেশা হবে সবার শেষ আশ্রয়স্থল – শিক্ষাবিদদের উদ্বেগ

বাংলা ফ্ল্যাশ বাংলা ফ্ল্যাশ

সিনিয়র রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২৬, ২০২৫

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে দেশজুড়ে শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক এবং সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন এক বিবৃতিতে বলেন,

“লিখিত পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষকতার লাইসেন্স দেওয়া হলে এই পেশাটি অযোগ্যদের জন্য শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হবে। এটি শিক্ষার মানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকতার মতো মানসিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় প্রবেশের জন্য বিশ্লেষণধর্মী লিখিত পরীক্ষা অপরিহার্য। কেবল MCQ ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে উপযুক্ততা নির্ধারণ করা একপ্রকার অবৈজ্ঞানিক হবে।

 

কেন লিখিত পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ?

  • ✅ শিক্ষকতার গুণগত মান যাচাইয়ের মৌলিক উপায়
  • ✅ যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ
  • ✅ দুর্নীতি ও পক্ষপাত হ্রাসে সহায়ক
  • ✅ শিক্ষাব্যবস্থায় পেশাদারিত্ব বজায় রাখা

️ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনে লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এটি শুধুমাত্র একটি প্রস্তাবনা, যা যাচাই-বাছাই চলছে।

জনমত:

  • শিক্ষার্থীরা বলছেন, লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের বাছাই করা সম্ভব।
  • অভিভাবকদের দাবি, শিক্ষা নিয়ে কোনো ধরনের আপস করা যাবে না।
  • ‍ শিক্ষক সমাজও লিখিত পরীক্ষার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ।

শেষ কথা:

শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। সেখানে যদি শিক্ষকতার মানদণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যাবে। সময় এসেছে এই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করার।

আপনার মতামত দিন: আপনি কি মনে করেন শিক্ষক নিবন্ধনে লিখিত পরীক্ষা থাকা উচিত? নিচে কমেন্ট করুন।

শেয়ার করুন: যদি মনে করেন এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে শেয়ার করুন বন্ধু ও শিক্ষানুরাগীদের মাঝে।

 

 

Facebook Comments Box