

ডাকসু নির্বাচনের সুফল: শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ উপকারিতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু (DUCSU) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা আসে। দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব ও কল্যাণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিল। অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে যেসব সুবিধা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
১. শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব ও কণ্ঠস্বর
নির্বাচিত সাংসদরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবে। ফলে আবাসন, লাইব্রেরি সময়সীমা, স্বাস্থ্যসেবা ও ক্যাম্পাসের অন্যান্য নীতি-নির্ধারণে শিক্ষার্থীদের মতামত কার্যকর হবে।
২. সমস্যা সমাধানে ফলপ্রসূ বৈঠক ও আর্থিক বরাদ্দ
ডাকসুর মাধ্যমে বিভিন্ন কমিটি গঠন করে আবাসিক হল, নিরাপত্তা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্টুডেন্ট হেল্থ ইউনিটের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা ও তদারকি করা যায়। তদনুসারে সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ীয় বরাদ্দে দ্রুত পরিবর্তন আনা সম্ভাব্য হয়।
৩. ছাত্র নেতৃত্ব ও সংগঠনের বিকাশ
নির্বাচিত প্রতিনিধি তরুণদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ, দলগত কাজের দক্ষতা ও সংগঠন পরিচালনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল বা সামাজিক ক্ষেত্রে যোগদান করলেও সংগঠিত মনোভাব ও কর্মকৌশল তাদের সঙ্গী হবে।
৪. কার্যকর সাংস্কৃতিক ও ইভেন্ট
ডাকসু বরাদ্দ ও পরিচালনায় বর্ষবরণ উৎসব, নাটক, প্রতিযোগিতা ও স্পোর্টস টুর্নামেন্টের আয়োজন আরও সংগঠিত ও বড় পরিসরে করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ও স্কুলওয়ার্কের চাপ কমার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে প্রাণবন্ততা আসে।
৫. সংহতি ও ঐক্যশক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এর ফলে শ্রেণিবিভেদ, ধর্মীয় বিভাজন ও রাজনৈতিক ভিন্নমতের মাঝেও সংলাপ বৃদ্ধি পায় ও ছাত্র সমাজে ঐক্যবদ্ধতার অনুভূতি গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:
#DUCSU2025 #ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্রউন্নয়ন #BanglaFlash #ডাকসু_সুবিধা