
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল খাতগুলোর একটি হলো তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি)। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনধারা, কাজের পদ্ধতি ও যোগাযোগের মাধ্যম। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হবে বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি। বিভিন্ন কোম্পানি ইতিমধ্যেই AI ভিত্তিক সার্ভিস ও পণ্য চালু করেছে যা মানবশ্রমের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনেছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। দেশের আইটি খাতে তরুণ উদ্যোক্তারা ফ্রিল্যান্সিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি ও গেম ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতি পাচ্ছে। সরকারও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও প্রশিক্ষণের উপর জোর দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অগ্রগতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে শুধু প্রযুক্তি নয়, প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা। তাই আইটি শিক্ষা ও গবেষণাকে আরও বিস্তৃত করার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।