
রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী হলো দেশবাসী। আজ সকাল ১০টার দিকে একটি ময়লার স্তূপ থেকে ৬-৮ বছর বয়সী এক শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। শিশুটির নাম রোজা, যিনি গতকাল সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির নিখোঁজ হওয়ার পর রাতেই এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু তাতে ফল না মেলায় সকাল হতেই এলাকাবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে ময়লার স্তূপে পাওয়া যায় তার মৃতদেহ, যা দেখে শিউরে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া এই ঘটনায় দেখা গেছে:
- শিশুটির শরীরে ধর্ষণের সুস্পষ্ট আলামত,
- দেহজুড়ে নির্মম নির্যাতনের চিহ্ন,
- এবং গরম পানিতে পোড়ানোর প্রমাণ।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এমন পাশবিকতার উদাহরণ তারা আগে দেখেননি। রোজার মা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন—তার কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে তেজগাঁওয়ের বাতাস।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার দীর্ঘ সময় পরেও পুলিশ বা তদন্ত সংস্থার তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “একটি শিশু ধর্ষিত হয়েছে, খুন হয়েছে, আর আমরা শুধু অপেক্ষা করছি কারা এসে তদন্ত করবে!”
এটি কেবল একটি শিশুর মৃত্যু নয়—এটি আমাদের সমাজবোধের চূড়ান্ত ব্যর্থতা।
যে দেশে একটি নিষ্পাপ শিশু রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করা যায়, সেখানে উন্নয়ন বা অগ্রগতির কথা বলা যেন এক প্রকার ভ্রান্তি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #JusticeForRoja হ্যাশট্যাগে ইতোমধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও সচেতন নাগরিকেরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদকের মন্তব্য:
রোজার জন্য ন্যায়বিচার চাই। তার নিঃশব্দ আর্তনাদ যেন আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। এই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজ, রাষ্ট্র এবং প্রশাসনের প্রতিটি স্তরের মানুষকে দায়িত্ব নিতে হবে—এখনই।